রোড নেই , ভোট নেই : রাস্তা সংস্কারের দাবীতে ব‍্যানার দিলেন নাগরিকরা

21st September 2020 5:01 pm হুগলী
রোড নেই , ভোট নেই  : রাস্তা সংস্কারের দাবীতে ব‍্যানার দিলেন নাগরিকরা


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  বৈদ্যবাটি পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ডের স্বপ্ননগর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা রাস্তার দাবিতে এলাকায় ঝোলালেন  ব্যানার । প্রায় ৫০০ মিটার রাস্তা বেহাল দশা বলে অভিযোগ। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তা দিয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে  পড়ে। দাঁড়িয়ে যায় জল।  জমে যায় কাদা। ওই এলাকায় ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার বসবাস করে।  তাঁদের অভিযোগ পৌরসভাকে সব ধরনের রাজস্ব দেওয়া হয়। কিন্তু পাওয়া যায় না  ন্যূনতম পৌরপরিষেবা।  এ বিষয়ে বৈদ্যবাটী পৌরসভার বর্তমান প্রশাসন অরিন্দম গুইন বলেন বিগত ১১ বছরে পৌরসভা এলাকায় যা কাজ হয়েছে তার আগের ৩৪ বছরে সেই কাজ হয়নি। আট নম্বর ওয়ার্ডে বেশ কটি রাস্তা তৈরি হয়েছে। তবে এখন কয়েকটি রাস্তায় কাজ বাকি আছে । তিনি আরো বলেন বৈদ্যবাটী  পৌরসভা এলাকায়  ৯০ শতাংশের বেশি কাজ হয়ে গেছে । যে সমস্ত রাস্তা বাকি আছে খুব তাড়াতাড়ি কাজে হাত দেওয়া হবে। যাঁরা এই রাস্তা নিয়ে অভিযোগ করছেন, তাঁরা আমার মনে হয় অন্য কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী। তাঁরা এলাকার বাসিন্দা নয়। আমাদের পৌরসভা যেমন টাকা আসে তা পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে  ভাগ কাজ করা হয়। সেখানকার এই পরিস্থিতি দেখেই তাঁরা জায়গা কিনেছে। এখন তাঁরা অভিযোগ করছে। এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।